বিরাট কোহলি এবং বাবর আজমের তুলনা: ওয়ানডে, টি-২০ ও টেস্ট ক্রিকেটে তাদের স্ট্যাটস এবং পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে।
বিরাট কোহলি এবং বাবর আজম, দুইজনই ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। তাদের মধ্যে তুলনা করা হয় অনেক সময়, বিশেষ করে ওয়ানডে, টেস্ট ও টি-২০ ক্রিকেটে তাদের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে। কোহলি তার ক্যারিয়ারে অসংখ্য রেকর্ড গড়েছেন, তার গড় এবং শতক সংখ্যা দারুণ। অন্যদিকে, বাবর আজমও তার ব্যাটিংয়ে এক নতুন ধারা সৃষ্টি করেছেন, বিশেষ করে টি-২০ ক্রিকেটে তার সাফল্য চোখে পড়ার মতো। কোহলি যেখানে দীর্ঘ সময় ধরে সাফল্য ধরে রেখেছেন, বাবর আজমও প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে তরুণ বয়সে অনেক রেকর্ড অর্জন করেছেন। দুইজনের মধ্যে তুলনা নির্ভর করে তাদের বর্তমান ফর্ম এবং কন্ডিশনের ওপর।
বাবর আজম এবং বিরাট কোহলির তুলনা ক্রিকেট বিশ্বে অন্যতম আলোচিত বিষয়। যদিও বিরাট ২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক করেন, বাবর ২০১৫ সালে তার প্রথম ম্যাচ খেলেন, তবে এই দুই ব্যাটিং তারকার তুলনা নানা ফরম্যাটে বারবার উঠে আসে। উভয়ই যুব বয়সে উজ্জ্বল প্রতিভা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। বিরাট ২০১১ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ, ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এবং ২০২৪ সালে টি-২০ বিশ্বকাপ জিতেছেন, বাবরের একমাত্র আন্তর্জাতিক সাফল্য ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। আমরা এখানে বাবর আজম এবং বিরাট কোহলির তুলনা করব এবং দেখব কে সংখ্যার বিচারে সেরা ব্যাটসম্যান।
বাবর আজম বনাম বিরাট কোহলি: টেস্ট ক্রিকেটে তুলনা
প্রতিযোগিতা | বাবর আজম | বিরাট কোহলি |
ম্যাচ সংখ্যা | ৫৫ | ১১৮ |
রানের সংখ্যা | ৩৯৯৭ | ৯০৪০ |
ব্যাটিং গড় | ৪৩.৯২ | ৪৭.৮৩ |
ইনিংসে ১০০/৫০ | ৯/২৬ | ২৯/৩১ |
সর্বোচ্চ রান | ১৯৬ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে, ২০২২ | ২৫৪* দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে, ২০১৯ |
বিরাট কোহলি বনাম বাবর আজম: ওয়ানডে স্ট্যাটস তুলনা
বিরাট কোহলি এবং বাবর আজমের মধ্যে ওয়ানডে ক্রিকেটে তুলনা বেশ আলোচিত। কোহলি ২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক করার পর থেকে অসংখ্য রেকর্ড গড়েছেন। তিনি ১৫০টি শতকসহ ৯০০০ এরও বেশি রান করেছেন, এবং তার ব্যাটিং গড় ৫০ এর কাছাকাছি, যা তাকে বিশ্বক্রিকেটের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। অন্যদিকে, বাবর আজমও ওয়ানডে ক্রিকেটে খুবই সফল, এবং তিনি মাত্র ২৬ বছরে অসাধারণ ব্যাটিং গড় ও ধারাবাহিকতা দেখিয়েছেন। বাবর ১০০টি ইনিংসে ৪০০০ রান পূর্ণ করেছেন, যা তাকে দ্রুততম ব্যাটসম্যানদের মধ্যে অন্যতম করে তোলে। যদিও কোহলি অভিজ্ঞতায় এগিয়ে, বাবরের তরুণ বয়সে দারুণ পারফরম্যান্স তাকে ভবিষ্যতের জন্য আশা জাগায়।
প্রতিযোগিতা | বাবর আজম | বিরাট কোহলি |
ম্যাচ সংখ্যা | ১২০ | ২৯৫ |
রানের সংখ্যা | ৫৮০৯ | ১৩৯০৬ |
ব্যাটিং গড় | ৫৬.৯৫ | ৫৮.১৮ |
স্ট্রাইক রেট | ৮৮.৭০ | ৯৩.৫৪ |
ইনিংসে ১০০/৫০ | ১৯/৩২ | ৫০/৭২ |
সর্বোচ্চ রান | ১৫৮ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, ২০২১ | ১৮৩ পাকিস্তানের বিপক্ষে, ২০১২ |
টি-২০ ক্রিকেটে বিরাট কোহলি বনাম বাবর আজম
টি-২০ ক্রিকেটে বিরাট কোহলি ও বাবর আজমের তুলনা অনেক আলোচিত। কোহলি তার অসাধারণ ব্যাটিং দক্ষতা এবং চাপের মুহূর্তে পারফরম্যান্সের জন্য পরিচিত। তিনি বিশ্বের অন্যতম সেরা টি-২০ ব্যাটসম্যান, তার গড় এবং ধারাবাহিকতা প্রশংসনীয়। অপরদিকে, বাবর আজমও টি-২০ ক্রিকেটে এক অসাধারণ খেলোয়াড়, যিনি তরুণ বয়সেই অনেক সাফল্য অর্জন করেছেন। বাবরের ব্যাটিং শৈলী নিখুঁত, এবং তিনি দ্রুত রান করতে সক্ষম। দুজনেরই ব্যাটিং গড় ভালো, তবে কোহলির অভিজ্ঞতা এবং ধারাবাহিকতা তাকে সামগ্রিকভাবে একটু এগিয়ে রাখে। দুই তারকার তুলনা প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটের জন্য রোমাঞ্চকর এবং আকর্ষণীয়।
প্রতিযোগিতা | বাবর আজম | বিরাট কোহলি |
ম্যাচ সংখ্যা | ৫২ | ৮৪ |
রানের সংখ্যা | ২০৩৫ | ৩১৫৯ |
ব্যাটিং গড় | ৪৭.৩২ | ৫২.৬৫ |
ইনিংসে ১০০/৫০ | ৩/১৮ | ২৮/১ |
সর্বোচ্চ রান | ২০২১ সালে ১২২ রানের ইনিংস | ২০২২ সালে ১২২* রানের ইনিংস |
স্ট্রাইক রেট | ১২৯.৭ | ১৩৯.০৪ |
বিরাট কোহলি ২৭টি ইনিংসে ১০০০ রানের মাইলস্টোন অর্জন করেন, যেখানে বাবর আজম এটি অর্জন করেন ২৬টি ইনিংসে। কোহলি ৫৬ ইনিংসে ২০০০ রান পূর্ণ করেন, অপরদিকে বাবর আজম ৫২টি ইনিংসে একই মাইলস্টোন অর্জন করেন। এই পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট যে, বাবর আজম দ্রুততর গতিতে রান সংগ্রহ করছেন, তবে কোহলির ব্যাটিং ধারাবাহিকতা ও অভিজ্ঞতা তাকে দীর্ঘ সময় ধরে সাফল্য এনে দিয়েছে। উভয়েরই ব্যাটিং দক্ষতা চমকপ্রদ, তবে তাদের পারফরম্যান্সের গতি এবং ধরণে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে, যা তাদের তুলনাকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে।
Also Read ; বিশ্বের হ্যান্ডসাম ক্রিকেটার