পাকিস্তানের শীর্ষ ৫ ধনী ক্রিকেটারের তালিকয় রয়েছে শাহিদ আফ্রিদি, ওয়াসিম আকরাম, শোয়েব আখতার, ইমরান খান, এবং ওয়াকার ইউনিস পাকিস্তানের শীর্ষ পাঁচ ধনী ক্রিকেটার, যারা ক্রিকেট, বিজ্ঞাপন, কোচিং এবং ব্যবসা থেকে আয় করেছেন। এই ক্রিকেটাররা শুধুমাত্র ক্রীড়া ক্ষেত্রে সফল ছিলেন না, বরং তাদের ব্যক্তিগত ব্যবসা এবং অন্যান্য উদ্যোগের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য অর্থ উপার্জন করেছেন।
৫. ইমরান খান
ইমরান খান, পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার, বর্তমানে একজন রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক। তিনি পাকিস্তানের জন্য ক্রিকেটে অসাধারণ অবদান রেখেছেন এবং ১৯৯২ সালে পাকিস্তানকে বিশ্বকাপ শিরোপা জিতিয়েছিলেন। তার পরবর্তী সময়ে, তিনি প্রতিষ্ঠা করেন “ইমরান খান ফাউন্ডেশন” এবং “নমল বিশ্ববিদ্যালয়”, যা সমাজসেবা এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশাল ভূমিকা রেখেছে।
বিভাগ | তথ্য |
---|---|
নাম | ইমরান খান |
ক্রিকেট ক্যারিয়ার | ১৯৭১-১৯৯২, পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অধিনায়ক |
বিশ্বকাপ জয় | ১৯৯২ সালে পাকিস্তানকে বিশ্বকাপ শিরোপা জেতান |
অর্থনৈতিক অবস্থা | প্রায় ৫০ মিলিয়ন ডলার (পাকিস্তানী রুপি প্রায় ৭,৫০০ কোটি) |
রাজনৈতিক অবস্থান | পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী (২০১৮-২০২২) |
৪. শাহিদ আফ্রিদি
বিভাগ | তথ্য |
---|---|
নাম | শাহিদ আফ্রিদি |
ক্রিকেট ক্যারিয়ার | ১৯৯৬-২০১৭, পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অধিনায়ক |
বিশ্বকাপ জয় | ২০০৯ সালে পাকিস্তানকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শিরোপা জেতান |
ওডিআই ক্যারিয়ার | ৩৯০টি ওয়ানডে ম্যাচে ৮৯৯৩ রান এবং ৩৮৫টি উইকেট |
অর্থনৈতিক অবস্থা | প্রায় ৩০ মিলিয়ন ডলার |
বর্তমান অবস্থান | “শাহিদ আফ্রিদি ফাউন্ডেশন” |
শাহিদ আফ্রিদি পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার এবং বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। তাকে “বুম বুম আফ্রিদি” নামে পরিচিতি লাভ হয়েছে তার বিশাল ছক্কা মারার ক্ষমতার জন্য। আফ্রিদি তার ক্যারিয়ারে ফাস্ট বোলিং এবং স্পিন বোলিং উভয় ক্ষেত্রেই সফল ছিলেন এবং বিশ্বের ক্রিকেট ইতিহাসে তার ভূমিকা অনস্বীকার্য। তিনি পাকিস্তানের হয়ে বহু ম্যাচে তার দক্ষতা প্রমাণ করেছেন এবং খেলোয়াড় হিসেবে ও মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিশাল প্রভাব রেখেছেন।
৩. ওয়াসিম আকরাম
বিভাগ | তথ্য |
---|---|
নাম | ওয়াসিম আকরাম |
ক্রিকেট ক্যারিয়ার | ১৯৮৪ থেকে ২০০৩ |
বিশ্বকাপ জয় | ১৯৯২ সালে পাকিস্তানকে বিশ্বকাপ শিরোপা জেতান |
(টেস্ট + ওয়ানডে) | ৯১৬ উইকেট |
অর্থনৈতিক অবস্থা | প্রায় ৩০ মিলিয়ন ডলার |
বর্তমান অবস্থান | বিজ্ঞাপন এবং টিভি শো-তে অংশগ্রহণ করেন |
ওসিম আকরাম, পাকিস্তানের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার, তাঁর ক্যারিয়ারের পাশাপাশি অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে একটি সফল অবদান রেখেছেন। প্রখ্যাত এই পেস বোলার পাকিস্তান ক্রিকেটের আইকন এবং তাঁর অর্থনৈতিক অবস্থা যথেষ্ট ভালো। ওসিম আকরাম অবসর নেওয়ার পর ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন ব্যবসা, বিজ্ঞাপন এবং টিভি শো-তে অংশগ্রহণ করেছেন, যা তার আয়ের উৎস হয়েছে। তার অতীত ক্রিকেট ক্যারিয়ারেও তিনি বেশ বড় অঙ্কের আয় করেছেন।
২. ইউনিস খান
বিভাগ | তথ্য |
---|---|
নাম | ইউনিস খান |
ক্রিকেট ক্যারিয়ার | ২০০০ থেকে ২০১৭ |
বিশ্বকাপ জয় | ২০১৭ সালে পাকিস্তানকে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতান |
(টেস্ট + ওয়ানডে) | ১১৮ টেস্ট ১০,০৯৯ রান এবং ২৬৫ ওয়ানডে ৭,২৪৯ রান |
অর্থনৈতিক অবস্থা | প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার |
বর্তমান অবস্থান | কোচিং এবং দ্বারা ভাষ্যকার |
ইউনিস খান একজন প্রাক্তন পাকিস্তানি ক্রিকেটার, যিনি পাকিস্তানের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে বিবেচিত। তিনি তার মজবুত টেকনিক, চাপের মধ্যে খেলার দক্ষতা এবং টেস্ট ক্রিকেটে ধারাবাহিকতার জন্য পরিচিত। ইউনিস ২০০০ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক করেন এবং সব ফরম্যাটে খেলেছেন। তবে টেস্ট ক্রিকেটে তার পারফরম্যান্সের জন্যই তিনি বেশি স্মরণীয়। তিনি পাকিস্তানের টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক, যার সংগ্রহ ১০,০০০ রান ছাড়িয়েছে। ইউনিস বিশেষভাবে ২০১৭ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের ক্ষেত্রে তার নেতৃত্ব ও ব্যাটিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য পরিচিত।
১. শোয়েব আখতার
বিভাগ | তথ্য |
---|---|
নাম | শোয়েব আখতার |
ক্রিকেট ক্যারিয়ার | ১৯৯৭ থেকে ২০১১ |
সর্বোচ্চ গতি | ১৬১.৩ কিমি/ঘণ্টা (২০০৩ সালে) |
(টেস্ট + ওয়ানডে) | ৪৬ ম্যাচে ১৭৮ উইকেট এবং ১৬৩ ম্যাচে ২৪৭ উইকেট |
অর্থনৈতিক অবস্থা | প্রায় ১০ মিলিয়ন ডলার |
বর্তমান অবস্থান | ক্রিকেট বিশ্লেষক এবং ধারাভাষ্যকার |
শোয়েব আখতার, যিনি “রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস” নামে পরিচিত, বিশ্বের দ্রুততম ফাস্ট বোলার হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন। পাকিস্তানের এই কিংবদন্তি পেসার তার অসাধারণ গতির জন্য বিশ্ব ক্রিকেটে বিখ্যাত। ২০০৩ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৬১.৩ কিমি/ঘণ্টা (১০০.২৩ মাইল/ঘণ্টা) গতিতে বল করে তিনি একটি ঐতিহাসিক রেকর্ড গড়েন।