ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) এমন এক প্রতিযোগিতা, যেখানে বহু খেলোয়াড় অসাধারণ পারফর্মেন্সের মাধ্যমে ক্রিকেটপ্রেমীদের মন জয় করেছেন। তবে, যদি কাউকে “মিস্টার আইপিএল” বলে ডাকা হয়, তবে সেই নামটি সুরেশ রায়নার জন্যই বরাদ্দ। তার ব্যাটিংয়ের ধারাবাহিকতা, ফিল্ডিংয়ের কৌশল এবং চাপের মুহূর্তে পারফর্ম করার ক্ষমতা তাকে এই বিশেষণ এনে দিয়েছে।
সুরেশ রায়নার আইপিএল ক্যারিয়ার
বছর | ম্যাচ | রান | গড় | স্ট্রাইক রেট | ৪স | ৬স |
---|---|---|---|---|---|---|
২০০৮ | ১৬ | ৪২১ | ৩৮.২৭ | ১৪২.২২ | ৩৫ | ১৮ |
২০১০ | ১৬ | ৫২০ | ৪৭.২৭ | ১৪২.৮৫ | ৪৫ | ২২ |
২০১৩ | ১৮ | ৫৪৮ | ৪২.১৫ | ১৫০.১৩ | ৫০ | ১৮ |
২০১৪ | ১৬ | ৫২৩ | ৪০.২৩ | ১৪৬.০৮ | ৫১ | ১৯ |
২০২১ | ১২ | ১৬০ | ১৭.৭৭ | ১২৫.০০ | ১৩ | ৯ |
মোট | ২০৫ | ৫৫২৮ | ৩২.৫১ | ১৩৬.৭৩ | ৫০৬ | ২০৩ |
ধারাবাহিক ব্যাটসম্যান
সুরেশ রায়নার ব্যাট থেকে ২০৫ ম্যাচে এসেছে ৫৫২৮ রান। গড় ৩২.৫১ এবং স্ট্রাইক রেট ১৩৬.৭৩। ১৩টি সিজনের মধ্যে ৯টিতে তিনি ৪০০ বা তার বেশি রান করেছেন। ২০১৩ সালে তার একমাত্র সেঞ্চুরি (১০০*) এবং ৩৯টি হাফ-সেঞ্চুরি তার অসাধারণ দক্ষতার প্রমাণ।
Read More:- শীর্ষ ৫ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের সেরা গড়
ফিল্ডিংয়ে শ্রেষ্ঠত্ব
রায়না শুধু ব্যাটিংয়েই নয়, ফিল্ডিংয়েও ছিলেন চমৎকার। ১০৯টি ক্যাচ নিয়ে তিনি আইপিএলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্যাচ ধরার রেকর্ডধারী। তার দ্রুতগতি এবং অ্যাথলেটিসিজম ফিল্ডিংয়ে অন্যদের জন্য মানদণ্ড তৈরি করেছে।
ক্লাচ পারফরমার
রায়নার পারফর্মেন্স প্লে-অফ এবং ফাইনালে বিশেষভাবে উজ্জ্বল। প্লে-অফে ৭১৪ রান এবং ৭টি হাফ-সেঞ্চুরি তাকে বড় ম্যাচের খেলোয়াড় হিসাবে পরিচিত করেছে। বিশেষত, ২০১৪ সালের প্লে-অফে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে তার ২৫ বলে ৮৭ রানের ঝড়ো ইনিংস আজও স্মরণীয়।
সমাপ্তি
২০২২ সালের মেগা নিলামে সুরেশ রায়না দল না পেয়ে আইপিএল থেকে বিদায় নেন। তবে তার অবদান চিরকাল ক্রিকেটপ্রেমীদের হৃদয়ে অম্লান থাকবে। ধারাবাহিক পারফরমেন্স, অসাধারণ ফিল্ডিং এবং দলে অবদান তাকে “মিস্টার আইপিএল” হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
Read More:- শীর্ষ ৫ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের সেরা ইকোনমি রেট