বিপিএলে কোনও বিখ্যাত বিদেশী নেই এই অভিযোগ পুরনো নয়। গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে মানসম্পন্ন বিদেশী ক্রিকেটারের সংকট চলছে। চলতি মৌসুমে বেশিরভাগ দলই মানসম্পন্ন বিদেশী খেলোয়াড়ের সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে। তবে দুর্বার রাজশাহীর জন্য সেই সংকট কিছুটা বেশি প্রকট। বিশেষ করে বোলিং আক্রমণ সমর্থকদের পুরোপুরি হতাশ করেছে।
বোলিং বিভাগকে শক্তিশালী করার জন্য দুর্বার রাজশাহী একজন বিদেশী ক্রিকেটারকে দলে নিয়েছে। গত দুই দিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নামটি খবরের শিরোনামে রয়েছে। কামিন্স রাজশাহীতে আসছেন। তবে প্যাট কামিন্স নয়, মিগুয়েল কামিন্স!
মিগুয়েল কামিন্স কে তা জানতে হলে আপনাকে অনেক দিন পিছনে ফিরে যেতে হবে। তিনি ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের জার্সিতে খেলেছেন। তার ১৪টি টেস্ট এবং ১১টি ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। টেস্টে তার ২৭টি উইকেট এবং ওয়ানডেতে ৯টি উইকেট রয়েছে। এবং তিনি সর্বশেষ ২০২২ সালে স্বীকৃত ক্রিকেট খেলেছিলেন।
- বাংলাদেশ প্রিমিয়াম লিগ (BPL) 2025 পয়েন্ট টেবিল
- আজকের বিপিএল ম্যাচের ভবিষ্যদ্বাণী, প্রতিকূলতা, লাইভ স্কোর
তিনি শেষবার ভাইটালিটি ব্লাস্টের হয়ে খেলেছিলেন। সিপিএলে খেলার অভিজ্ঞতা তার আছে। তবে, এই পেসার কোথাও স্থায়ী ছাপ ফেলতে পারেননি। ভাইটালিটি ব্লাস্টে ৩ ম্যাচে ৫ উইকেট এবং সিপিএলে ৮ ম্যাচে ১ উইকেট নেওয়ার পরিসংখ্যান নিয়ে তিনি বাংলাদেশে আসেন। বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্ব থেকে তিনি দলে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত ৬টি ম্যাচ খেলা দুর্বার রাজশাহী তাদের পরবর্তী ৪টি ম্যাচ চট্টগ্রামে খেলবে। এনামুল হক বিজয়ের দল এখন পর্যন্ত ৬টি ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত। সদ্য দলে যোগ দেওয়া মিগুয়েল কামিন্স এই দলের ভাবমূর্তি কতটা বদলাতে পারেন তা দেখার বিষয়।
যদিও বিদেশী ক্রিকেটারদের নিয়ে দুর্বার রাজশাহীর ভক্তদের মধ্যে কিছুটা হতাশা রয়েছে। রাজশাহীর পাকিস্তানি তারকা সাদ নাসিম শেষবার ২০২১ সালে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন। ওপেনার মোহাম্মদ হারিসও জাতীয় দলে জায়গা খুঁজছেন। এমন পরিস্থিতিতে মিগুয়েল কামিন্সের মতো ক্রিকেটারকে দলে অন্তর্ভুক্ত করে কিছুটা অসন্তোষ আরও বাড়িয়েছে দলটি।