ফারুক আহমেদ

বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের হুঁশিয়ারি‘যদি ফিক্সিং প্রমাণিত হয়, তাহলে আমি তাদের জীবন কঠিন করে দেব’

নানা বিতর্কে জর্জরিত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চলমান একাদশ আসর। এর মধ্যে রয়েছে সন্দেহজনক পারফরম্যান্সের গুঞ্জনও। বিপিএলে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ওঠার পর থেকে নড়েচড়ে বসেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি)। যা নিয়ে তাদের অ্যান্টি করাপশন ইউনিট (অ্যাকু) তদন্ত করছে বলেও জানা গেছে। কারও বিরুদ্ধে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার ‘জীবন কঠিন করে তোলার’ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ।

ক্রীড়াভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে দেওয়া মন্তব্যে এই কথা জানান বিসিবি সভাপতি। গণমাধ্যম ও নানা সূত্রে পাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে বিসিবির দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা অ্যাকু আগেই তদন্ত শুরু করেছিল। যেখানে চলমান বিপিএলের আটটি ম্যাচে স্পট ফিক্সিং বা ম্যাচ ফিক্সিং হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করা হয়। এমনকি নজরদারিতে রয়েছে চারটি ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলা ১০ ক্রিকেটার। এর মধ্যে ৬ জন বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। বাকিদের মধ্যে দুজন করে আছেন স্থানীয় অনিভিষিক্ত ও বিদেশি ক্রিকেটার।

ক্রিকবাজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সন্দেহের তালিকায় থাকা ক্রিকেটারদের মধ্যে ফ্র্যাঞ্চাইজির হিসাবে সর্বোচ্চ ১২ জন ক্রিকেটার খেলছেন দুর্বার রাজশাহী এবং ঢাকা ক্যাপিটালসের জার্সিতে। এর বাইরে সিলেট স্ট্রাইকার্সের ৬ এবং চিটাগাং কিংসের ২ ক্রিকেটারকেও নজরদারিতে রাখা হয়েছে। সন্দেহজনক পারফরম্যান্সের তালিকায় আছে ৮টি ম্যাচ– ফরচুন বরিশাল-দুর্বার রাজশাহী (৬ জানুয়ারি), রংপুর রাইডার্স-ঢাকা ক্যাপিটালস (৭ জানুয়ারি), ঢাকা-সিলেট স্ট্রাইকার্স (১০ জানুয়ারি), রাজশাহী-ঢাকা (১২ জানুয়ারি), চিটাগাং কিংস-সিলেট (১৩ জানুয়ারি), বরিশাল-খুলনা টাইগার্স (২২ জানুয়ারি) ও চিটাগাং-সিলেট (দুই ম্যাচ)।

চলমান বিপিএল আসর শুরু হয়েছিল অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষার ফানুশ উড়িয়ে। স্পোর্টিং পিচ বানিয়ে আগের আসরগুলোর আক্ষেপ মিটলেও, টিকিট অব্যবস্থাপনা-সন্দেহজনক পারফরম্যান্স ও পারিশ্রমিক বকেয়া রাখার মতো বিতর্ক সেসব আশায় জল ঢেলে দিয়েছে। পারিশ্রমিক ও ফিক্সিংয়ের সন্দেহ ক্রিকেটীয় স্পিরিটকেই নতুন করে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। এর ভেতর বকেয়া পরিশোধ করা নিয়ে বারবার ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে সতর্ক করে আসছে বিসিবি। সভাপতি ফারুক আহমেদও ফিক্সিং নিয়ে কঠোর শাস্তির হুমকি দিয়ে রাখলেন।

Also Read: ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে ভারতকে বিষয়টি নিয়ে বিষোদ্গার করলেন পিসিবি প্রধান মহসিন নকভি, বলেছেন “কিছু লোক আছে যারা…”

তদন্ত চলমান থাকায় এই মুহূর্তে ফিক্সিং ইস্যুতে মন্তব্য করতে অনাগ্রহ দেখিয়ে ফারুক বলেছেন, ‘তদন্ত এখনও চলমান থাকায় আমাদের কিছু প্রোটোকল মেনে চলতে হয়। সে কারণে আমি আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করতে পারব না। পুরো তালিকা এবং যেসব ম্যাচ নিয়ে অভিযোগ উঠেছে সেসব আমাদের নজরে আছে এবং সেসব নিয়ে তদন্ত হচ্ছে।’

কঠিন শাস্তির হুমকি দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘যদি তদন্তে কোনো কিছু (প্রমাণ) বেরিয়ে আসে, এরপর যে কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে সবাই জানেন। আমি যদি সেরকম কিছু পাই, তাদের জীবন কঠিন করে তুলব, আমি কারও অপরাধের ছাড় দেবো না। সিদ্ধান্ত একটাই আসবে এবং সেটি সবার জন্যই প্রযোজ্য হবে। সেটি হবে দৃষ্টান্তমূলক।’

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *