বিপিএলের চলমান একাদশ আসরে অন্তত আটটি ম্যাচে সন্দেহজনক পারফরম্যান্সের অভিযোগ উঠেছে। যেখানে জড়িত সন্দেহে নজরদারিতে আছেন চারটি ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলা ১০ ক্রিকেটার এমনই খবর এসেছে গণমাধ্যমে। এর মধ্যে নাম আছে বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করা এনামুল হক বিজয়ের নামটাও।
সেই আলোচনার মাঝেই এবার তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার গুঞ্জন উঠেছে। সবমিলিয়ে এবারের বিপিএলের অন্যতম সর্বোচ্চ এই রান সংগ্রাহকের জন্য সময়টা কিছুটা কোণঠাসাই বটে। ফিক্সিং ও নিষেধাজ্ঞার ইস্যুতে বিজয়ের মন্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হয়েছিল তার সঙ্গে। ঢাকা পোস্টের সঙ্গে আলাপকালে বেশ হতাশাই ঝরল এনামুল বিজয়ের কণ্ঠে।
ঢাকা পোস্টকে বাংলাদেশ জাতীয় দলের এই ওপেনার বলেন, ‘আসলে কি বলবো, আমি এটা (দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা) জানি না পুরোপুরি। নিউজটা দেখছি শুধু আর কি।’
এরপর জানতে চাওয়া হয় একটি গণমাধ্যমে ফিক্সিং ইস্যুতেও এসেছে আপনার নাম এ নিয়ে বিজয় বলেন, ‘বিসিবি তো এগুলো দেখছে, তারাই আমাদের (ক্রিকেটের) অভিভাবক। এখন কেউ না জেনে না শুনে হুট করে একটা কথা বলে ফেলছে, খুবই কষ্টদায়ক আসলে। হ্যাঁ , বিসিবিকে জানিয়েছি আর বিসিবি আসলে কোনদিন কাউকে জানায়নি। উনারা কোথা থেকে নিউজগুলো পেয়েছে, বিসিবিও অবাক হয়েছে আসলে।’
- বাংলাদেশ প্রিমিয়াম লিগ (BPL) 2025 পয়েন্ট টেবিল
- আজকের বিপিএল ম্যাচের ভবিষ্যদ্বাণী, প্রতিকূলতা, লাইভ স্কোর
এদিকে ক্রীড়াভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ ফিক্সিং ইস্যুতে বলেছেন, ‘তদন্ত এখনও চলমান থাকায় আমাদের কিছু প্রটোকল মেনে চলতে হয়। সে কারণে আমি আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করতে পারব না। পুরো তালিকা এবং যেসব ম্যাচ নিয়ে অভিযোগ উঠেছে সেসব আমাদের নজরে আছে এবং সেসব নিয়ে তদন্ত হচ্ছে।’
Also Read: বিপিএল: বিজয়ের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার গুঞ্জন
কঠিন শাস্তির হুমকি দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘যদি তদন্তে কোনো কিছু (প্রমাণ) বেরিয়ে আসে, এরপর যে কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে সবাই জানেন। আমি যদি সেরকম কিছু পাই, তাদের জীবন কঠিন করে তুলব, আমি কারও অপরাধের ছাড় দেবো না। সিদ্ধান্ত একটাই আসবে এবং সেটি সবার জন্যই প্রযোজ্য হবে। সেটি হবে দৃষ্টান্তমূলক।’