বিপিএল

বন্দরে নোঙর করবে নাকি লঞ্চেই থাকবে বিপিএল ট্রফি

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল। আবারো ফাইনাল খেলতে নামছে তারা। শিরোপা ধরে রাখা মিশনে নামছে ফরচুনরা। অন্যদিকে চিটাগাং কিংস এখনো বিপিএল শিরোপা ছুঁয়ে দেখতে পারেনি। প্রথমবার ট্রফির স্বাদ নেওয়ার অপেক্ষায় আছে বন্দর নগরীর দলটি।

আজ শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মেগা ফাইনালে চিটাগাংয়ের মুখোমুখি বরিশাল। মিরপুরের শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬ টায়।

বরিশালের জন্য ফাইনালের যাত্রাটা ছিল বেশ মসৃণ। ধারবাহিক পারফরম্যান্সে আসরের শুরু থেকেই হট ফেভারিট ছিল তামিম ইকবালের দল। গ্রুপ পর্বে প্রথম ১১ ম্যাচে শুরু রংপুরের বিপক্ষেই হেরেছিল বরিশাল। তবে এ পর্বের শেষ ম্যাচে চিটাগাংয়ের বিপক্ষে হারে তারা। তারপরও ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থেকে কোয়ালিফাই করে ফরচুনরা।

এদিকে গ্রুপ পর্বে রোলার-কোস্টার যাত্রা ছিল চিটাগাংয়ের। কম বাজেটের দল হওয়ায় খুব বেশি বড় নাম ছিল না তাদের। বিদেশি ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রেও বড় তারকাদের দিকে ঝুঁকতে পারেনি তারা। তবে দেশি ক্রিকেটারদের ধারবাহিক পারফরম্যান্সই তাদের মূল শক্তি। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষ দুইয়ে থেকে গ্রুপ পর্ব শেষ করেছিল তারা।

প্রথম কোয়ালিফায়ারে দেখা হয়েছিল দুই ফাইনালিস্টের। যেখানে একপেশে ম্যাচে কিংসদের হারিয়ে সরাসরি ফাইনালের টিকিট পায় বরিশাল। অন্যদিকে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খুলনা টাইগার্সকে শেষ বলের নাটকীয়তায় হারিয়ে ফাইনালে এসেছে কিংসরা।

ফাইনালের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে এসে বরিশালের অধিনায়ক তামিম বলেন, ‘বিপিএল নিয়ে আমরা এমন স্বপ্নই দেখেছি। একেকটা ফ্র্যাঞ্চাইজির একেক ধরনের ফ্যানবেজ থাকবে। যেটা আমার কাছে মনে হয়, বরিশাল খুব সফলভাবে করতে পেরেছে, বিশেষত গত দুই বছরে। তাদের জন্য পুরোপুরিভাবে চেষ্টা থাকবে কালকে যেন আমরা ভালো খেলে চ্যাম্পিয়ন হতে পারি।’

চ্যাম্পিয়ন হলে লঞ্চে করে ট্রফি নিয়ে বরিশালে যাবেন তামিমরা। তিনি বলেছেন, ‘যদি হতে পারি (চ্যাম্পিয়ন), তাহলে তো পরিকল্পনা আছেই। গত বছরও পরিকল্পনা ছিল। আমার মনে হয়, যেকোনো কারণেই যাওয়া হয়নি। এটা নয় যে আমাদের ইচ্ছা ছিল না, সব সময় ইচ্ছা ছিল। এবারও আমাদের ইচ্ছা আছে। আল্লাহ যদি রহমত করে, অবশ্যই।’

Also Read: এলাকার মানুষকে চিটাগাং সমর্থন করতে বললেন বরিশালের অধিনায়ক তামিম

এদিকে ম্যাচপূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে চিটাগাং কোচ শন টেইট বলেছেন, ‘অনেকেই বলবে আমাদের ব্যাটিংয়ের গভীরতা নেই। দিন শেষে আমরা ফাইনালে খেলছি। অনেক সময় আপনাকে রিস্ক নিতে হবে এবং দল হিসেবে আপনাকে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে।’

‘আপনি যদি শামীম পাটোয়ারির কথাই ধরুন সে ছয় নম্বর পজিশনে খেলেছে। সে সামনের দিকের ব্যাটারদের দারুণ আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। আপনি দেখেছেন তার মতো ব্যাটার কতটা ধ্বংসাত্মক হতে পারে। তাকে বল করা খুবই কঠিন। সে আমাদের দারুণ আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। আমার মনে হয় আমাদের ভালো বোলিং আক্রমণও রয়েছে। সব সময় আপনি সবকিছু পাবেন না।’-যোগ করেন তিনি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *