বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে টেস্ট ম্যাচে রানের দিক থেকে ক্ষুদ্রতম ব্যবধানে জয়গুলো তাদের টেস্ট ক্রিকেটের উন্নতির প্রতিচ্ছবি। এই ম্যাচগুলো বাংলাদেশের বোলার ও ব্যাটসম্যানদের নিরলস প্রচেষ্টা এবং দলগত নৈপুণ্যের মাইলফলক। এই নিবন্ধে, বাংলাদেশের টেস্ট জয়ের ক্ষুদ্রতম রানের ব্যবধানের ম্যাচগুলোর বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
Read More:- বাংলাদেশ ক্রিকেটে ওয়ানডে ফরম্যাটে সর্বোচ্চ জয়ের রেকর্ড
বাংলাদেশের টেস্ট জয়ের ক্ষুদ্রতম ব্যবধানের তালিকা
নিচের টেবিলে বাংলাদেশের টেস্ট জয়ের ক্ষুদ্রতম ব্যবধানের ম্যাচগুলোর পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে:
বিজয়ী দল | ব্যবধান (রান) | লক্ষ্য | ওভার | প্রতিপক্ষ | মাঠ | ম্যাচের তারিখ | টেস্ট নম্বর |
---|---|---|---|---|---|---|---|
বাংলাদেশ | ২০ রান | ২৬৫ | ৭০.৫ | অস্ট্রেলিয়া | মিরপুর | ২৭ অগাস্ট ২০১৭ | ২২৭২ |
বাংলাদেশ | ৬৪ রান | ২০৪ | ৩৫.২ | ওয়েস্ট ইন্ডিজ | চট্টগ্রাম | ২২ নভেম্বর ২০১৮ | ২৩২৮ |
বাংলাদেশ | ৯৫ রান | ২৭৭ | ৭০.১ | ওয়েস্ট ইন্ডিজ | কিংস্টাউন | ৯ জুলাই ২০০৯ | ১৯২৩ |
বাংলাদেশ | ১০১ রান | ২৮৭ | ৫০.০ | ওয়েস্ট ইন্ডিজ | কিংস্টন | ৩০ নভেম্বর ২০২৪ | ২৫৬৫ |
বাংলাদেশ | ১০৮ রান | ২৭৩ | ৪৫.৩ | ইংল্যান্ড | মিরপুর | ২৮ অক্টোবর ২০১৬ | ২২২৭ |
মিরপুরে ২০১৭ সালের ঐতিহাসিক জয়
বাংলাদেশ ২০১৭ সালে মিরপুরে টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মাত্র ২০ রানের ব্যবধানে জয়লাভ করেছিল। এই ম্যাচে সাকিব আল হাসানের অসাধারণ অলরাউন্ড পারফরম্যান্স ছিল জয়ের প্রধান কারণ। অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইনআপ ভেঙে দেয়ার জন্য সাকিবের বোলিং ছিল বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশের বোলারদের প্রচেষ্টায় অস্ট্রেলিয়া লক্ষ্য ২৬৫ রানে থামতে বাধ্য হয়।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ(BPL) 2025 live score
চট্টগ্রামে ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জয়
২০১৮ সালের চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৬৪ রানের ব্যবধানে পরাজিত করে। স্পিনারদের আধিপত্যে এই ম্যাচে বাংলাদেশের বোলাররা মাত্র ৩৫.২ ওভারে প্রতিপক্ষকে গুটিয়ে দেয়। তাইজুল ইসলামের পাঁচ উইকেট শিকার ছিল ম্যাচের অন্যতম সেরা মুহূর্ত।
২০০৯ সালে কিংস্টাউনে ৯৫ রানের জয়
বাংলাদেশ ২০০৯ সালে কিংস্টাউনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৯৫ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ জয় পায়। এই ম্যাচটি ছিল বাংলাদেশের জন্য টেস্ট ইতিহাসে অন্যতম স্মরণীয় জয়। মুশফিকুর রহিমের ব্যাটিং এবং শফিউল ইসলামের বোলিং পারফরম্যান্স বাংলাদেশকে জয়ের পথে এগিয়ে নিয়ে যায়।
২০২৪ সালে কিংস্টনে ১০১ রানের ব্যবধানে জয়
২০২৪ সালের নভেম্বরে কিংস্টনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ১০১ রানের জয় ছিল সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম বড় অর্জন। তাসকিন আহমেদের বিধ্বংসী বোলিং এবং মুমিনুল হকের কার্যকর ব্যাটিং এই ম্যাচে বাংলাদেশকে বিজয় এনে দেয়।
বাংলাদেশ প্রিমিয়াম লিগ (BPL) 2025 পয়েন্ট টেবিল
মিরপুরে ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১০৮ রানের জয়
২০১৬ সালের মিরপুর টেস্টে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১০৮ রানের জয় ছিল বাংলাদেশের জন্য একটি বড় অর্জন। এই ম্যাচে মেহেদী হাসান মিরাজের সাত উইকেট শিকার বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করে। এটি ছিল বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড টেস্ট ইতিহাসে একটি চমকপ্রদ ম্যাচ।
আজকের বিপিএল ম্যাচের ভবিষ্যদ্বাণী, প্রতিকূলতা, লাইভ স্কোর
উপসংহার
উপরোক্ত ম্যাচগুলো বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের উন্নতির প্রমাণ। প্রতিটি জয়েই ছিল দলীয় ঐক্য, বোলারদের নৈপুণ্য এবং ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তা। এসব ছোট ব্যবধানের জয়গুলো দলকে আত্মবিশ্বাস যুগিয়েছে এবং বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের সাফল্যের ইতিহাস গড়ে তুলেছে।
Read More:- বাংলাদেশের টি২০আই-তে সর্বোচ্চ জয়ের রেকর্ড রান ব্যবধানে
প্রশ্নোত্তর
বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে রানের দিক থেকে ক্ষুদ্রতম ব্যবধানে জয়টি কোন দলের বিপক্ষে এবং কত রানে হয়েছিল?
বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে ক্ষুদ্রতম ব্যবধানে জয়টি ২০১৭ সালে মিরপুরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২০ রানের ব্যবধানে হয়েছিল।
২০১৬ সালে মিরপুরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ের প্রধান বোলিং নায়ক কে ছিলেন?
২০১৬ সালে মিরপুরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মেহেদী হাসান মিরাজ ছিলেন প্রধান বোলিং নায়ক, যিনি সাত উইকেট শিকার করেন।
২০২৪ সালে কিংস্টনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জয়ে বাংলাদেশের কোন দুই ক্রিকেটারের পারফরম্যান্স উল্লেখযোগ্য ছিল?
২০২৪ সালে কিংস্টনে তাসকিন আহমেদের বিধ্বংসী বোলিং এবং মুমিনুল হকের কার্যকর ব্যাটিং উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিল।