প্রত্যেক ক্রিকেটার তার দলের জয় নিশ্চিত করতে এবং গর্বিত করতে কঠোর পরিশ্রম করেন। যে ব্যক্তি সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতেও শান্ত ও সঙ্গতিপূর্ণ থাকতে পারেন, তিনি পৃথিবীর সেরা ফিনিশার হন। সব ব্যাটসম্যানই শেষ ওভারে ২০-৩০ রান দ্রুত করে দলের জয় এনে দিতে সক্ষম হন না। এই প্রবন্ধটি সেইসব খেলোয়াড়দের সম্পর্কে, যারা ম্যাচটিকে শেষ ওভার বল পর্যন্ত নিয়ে গিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেছেন।
6. শাহিদ আফ্রিদি
শাহিদ ‘বুম বুম’ আফ্রিদি তার আক্রমণাত্মক ব্যাটিং স্টাইলের জন্য খুব জনপ্রিয় ছিলেন। আফ্রিদি নিঃসন্দেহে অনেকের কাছে ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ফিনিশার হিসেবে গণ্য হন। তিনি সব ফরম্যাটে ১০,০০০ এর বেশি রান করেন এবং তার সেরা পারফরম্যান্স ছিল একদিনের ম্যাচে (ODI)। তবে, তার দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ধারাবাহিকতা ছিল প্রধান চ্যালেঞ্জ। যদি না এমনটা হত, তবে তিনি সম্ভবত বিশ্বের সেরা ফিনিশারের তালিকায় আরো উপরে থাকতেন। আফ্রিদি ১৮ বছর ধরে দ্রুততম একদিনের শতকের রেকর্ড ধারণ করেছিলেন, যা ২০১৪ সালে কোরি অ্যান্ডারসন ভেঙে দেন।
ফরম্যাট | ম্যাচ | রান | সর্বোচ্চ স্কোর | ব্যাটিং গড় |
---|---|---|---|---|
টেস্ট | ২৭ | ১৭১৬ | ১৫৬ | ৩৬.৫১ |
ওডিআই | ২৯৮ | ৮০৬৪ | ১২৪ | ২৩.৫৮ |
টি-২০আই | ৯৯ | ১৪১৬ | ৫৪ | ১৭.৯২ |
5. ভিভিয়ান রিচার্ডস
যখন খেলা শেষ করার কথা আসে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ছিল সেরা খেলোয়াড়, যিনি তাদের জন্য ম্যাচ জেতানোর সম্ভাবনা তৈরি করতে পারতেন। তার ক্যারিয়ারের সেরা সময়ে, তিনি ১২৪টি টেস্ট ম্যাচে ৮,৫৪০ রান এবং ১৮৭টি ওয়ানডেতে ৬,৭২১ রান করেছেন। তার আক্রমণাত্মক ব্যাটিং তার সেরা ফিনিশার হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার কারণ। ভিভ রিচার্ডস ১৯৯১ সালে ক্রিকেট থেকে অবসর নেন।
ফরম্যাট | ম্যাচ | রান | সর্বোচ্চ স্কোর | ব্যাটিং গড় |
---|---|---|---|---|
টেস্ট | ১২৪ | ৮৫৪০ | ২৯১ | ৫০.২৪ |
ওয়ানডে | ১৮৭ | ৬৭২১ | ১৮৯ | ৪৭ |
4. মাইকেল বেভান
মাইকেল বেভান অস্ট্রেলিয়ার মধ্য-অর্ডারে ব্যাটিং করতেন এবং তিনি একজন অন্যতম সেরা ওয়ানডে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ৯০-এর দশকের শেষ এবং ২০০০ সালের শুরুর দিকে, বেভান অস্ট্রেলিয়ার জন্য একটি অসাধারণ ফিনিশার ছিলেন, বিশেষ করে ওয়ানডেতে। তিনি ছিলেন একজন চতুর ব্যাটসম্যান, এবং তার বেশিরভাগ ওয়ানডে ইনিংস ইতিহাসে অনেক দিন ধরে স্মরণীয় থাকবে।
ফরম্যাট | ম্যাচ | রান | সর্বোচ্চ স্কোর | ব্যাটিং গড় |
---|---|---|---|---|
টেস্ট | ১৮ | ৭৮৫ | ৯১ | ২৯.০৭ |
ওয়ানডে | ২৩২ | ৬৯১২ | ১০৮ | ৫৩.১৭ |
3. এবি ডি ভিলিয়ার্স
এবি ডি ভিলিয়ার্স একজন ক্রিকেট জিনিয়াস এবং “৩৬০ ডিগ্রি ব্যাটসম্যান” হিসেবে পরিচিত। ২০০৪ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিনিধিত্ব করেছেন এবং বিশ্বে সেরা ফিনিশারদের মধ্যে একজন হিসেবে খ্যাত। ডি ভিলিয়ার্স তার ক্যারিয়ারে সব ফরম্যাটে ১৯,০০০ এরও বেশি রান করেছেন। ২০১৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাত্র ৩১ বলে দ্রুততম একদিনের সেঞ্চুরি করার রেকর্ডও রয়েছে তার।
ফরম্যাট | ম্যাচ | রান | সর্বোচ্চ স্কোর | ব্যাটিং গড় |
---|---|---|---|---|
টেস্ট | ১১৪ | ৮৭৬৫ | ২৭৮ | ৫০.৬৬ |
একদিনের | ২২৮ | ৯৫৭৭ | ১৭৬ | ৫৩.৫ |
টি২০আই | ৭৮ | ১৬৭২ | ৭৯ | ২৬.১২ |
2. জস বাটলার
ইংল্যান্ডের বর্তমান ওয়াইট-বল অধিনায়ক জস বাটলার ২০১১ সালে অভিষেকের পর থেকে সব ধরনের ক্রিকেটে অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন। তিনি ওডিআই’তে মিডল ওভারে ব্যাটিং করেন, এবং তার কাজ হলো ম্যাচ শেষ করা। বাটলার মাঠের চারপাশে শট খেলার ক্ষমতা রাখেন এবং চাপের মধ্যে অসাধারণ শটও খেলতে পারেন। এর ফলে, তাকে ইংল্যান্ডের সেরা ফিনিশার হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।
ফরম্যাট | ম্যাচ | রান | সর্বোচ্চ স্কোর | ব্যাটিং গড় |
---|---|---|---|---|
টেস্ট | ৫৭ | ২৯০২ | ১৫২ | ৩১.৯৫ |
ওডিআই | ১৫৭ | ৪২৪৫ | ১৬২ | ৪০.৪৩ |
টি২০আই | ১০৩ | ২৬০২ | ১০১ | ৩৪.৬৯ |
1. এমএস ধোনি
এমএস ধোনি নিঃসন্দেহে ক্রিকেট বিশ্বের সেরা ফিনিশারদের একজন। ‘ক্যাপ্টেন কুল’ নামে পরিচিত ধোনি ২০০৪ সালে বাংলাদেশ বিরুদ্ধে তার একদিনের আন্তর্জাতিক (ওডিআই) ক্যারিয়ার শুরু করেন। গত দশকে (ওডিআই) ভারতীয় রান-চেজে ধোনি ছিলেন মূল চালিকা শক্তি। যদিও পরিসংখ্যান তার অসাধারণ ফিনিশিং দক্ষতার পুরো মূল্যায়ন নাও করতে পারে, তবুও ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসে তাকে সর্বকালের সেরা অধিনায়ক, ব্যাটসম্যান এবং সেরা ফিনিশার হিসেবে সব সময় স্মরণ করা হবে।
ফরম্যাট | ম্যাচ | রান | সর্বোচ্চ স্কোর | ব্যাটিং গড় |
---|---|---|---|---|
টেস্ট | ৯০ | ৪৮৭৬ | ২২৪ | ৩৮.০৯ |
ওডিআই | ৩৫০ | ১০৭৭৩ | ১৮৩ | ৫০.৫৭ |
টি-টোয়েন্টি | ৯৮ | ১৬১৭ | ৫৬ | ৩৭.০০ |