বিপিএল

বিপিএল: ফাইনালে মাঠে নামার আগে দুশ্চিন্তায় চিটাগাং

দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে ব্যাট হাতে ইনিংসের শেষ বলে চার হাঁকিয়ে চিটাগাং কিংসকে জয় এনে দিয়েছিলের আলিস আল ইসলাম। তার ক্যামিওতে ভর করেই খুলনা টাইগার্সকে সেদিন ৩ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল চিটাগং কিংস। তবে ফাইনালে আলিসের খেলা নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা।

দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে রান নিতে গিয়ে পায়ে ব্যথা পেয়েছিলেন এই স্পিনার। যেই ব্যথায় এখনো ভুগছেন আলিস। সর্বশেষ খবর, এখনো খেলার মতো ফিট নন তিনি। তবে ম্যাচের আগে পর্যন্ত তার জন্য অপেক্ষা করবে দল।

চিটাগাং কিংসের একটি সূত্র আজ সকালে ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছে, শেষ বিকেল পর্যন্ত আলিসের জন্য অপেক্ষা করবে দল। এই স্পিনারকে নিয়ে কাজ করছে দলটির মেডিকেল বিভাগ। টিম ম্যানেজমেন্ট চায়, আলিস খেলুক। তবে ঝুঁকি নিয়ে খেলাবে না তারা।

গত ম্যাচে শেষ ওভারের জয়ের জন্য চিটাগাং কিংসের প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। মুশফিক হাসানের করা ওভারের প্রথম বলে চার মেরে কিংস ভক্তদের স্বপ্ন দেখান আরাফাত সানি। তৃতীয় বলে আলিস রিয়ার্ড হয়ে ওঠে গেলে উইকেটে এসে প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকান শরিফুল। তবে পরের বলেই আউট হয়ে যান তিনি। ফলে আবারো মাঠে নামেন আলিস।

শেষ বলে সমীকরণ দাঁড়ায় চার রানে। তখন মুশফিকের অফ স্টাম্পের বাইরের বলকে ডিপ এক্সট্রা কভার দিয়ে চার মেরে সেই সমীকরণ মিলিয়েছেন আলিস। সব মিলিয়ে ৭ বলে ১৭ রানের ম্যাচ জেতানো ক্যামিও খেলে জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কারও।

Also Read: বন্দরে নোঙর করবে নাকি লঞ্চেই থাকবে বিপিএল ট্রফি

ম্যাচ শেষে আলিস বলেন, ‘রান নিতে গিয়ে যখন চোটে পড়লাম, আমি যেহেতু দৌড়াতে পারব না, সানি ভাই বললেন যে, ‘যদি দৌড়াতে না পারো, তাহলে বাইরে যাওয়াই ভালো হবে।’ ওই সময় তিন বলে ৮ রান প্রয়োজন ছিল। তাই দ্রুত রান নেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। প্রথমে বললাম, ‘আমি চেষ্টা করি।’ সানি ভাই বললেন, ‘দরকার নেই। কপালে থাকলে হবে। শরিফুলও মারতে পারবে।’ শরিফুল প্রথম বলেই চার মারল। তখন আমাদের মাঝে বিশ্বাস ছিল যে, এই ম্যাচ আমাদের পক্ষে আছে।’

‘শেষ বলে আমি আবার যখন ফিরে এলাম, সানি ভাইকে বলছিলাম, ‘ভাই আসলেই দেখেন, কপালে যদি থাকে ছয় মেরে দেব।’ সানি ভাই বলছিলেন যে, ছয় দরকার নেই, তুই চারই মার (হাসি)।’

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *