ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা বিশ্বকাপ

ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা বিশ্বকাপ ২০১১ ফাইনাল

২০০৭ টি২০ বিশ্বকাপ জয়ের সময় এমএস ধোনি নবীন খেলোয়াড়দের নিয়ে কাজ করেছিলেন। তবে ২০১১ বিশ্বকাপের আগে ধোনি একটি প্রায় বিশ্বমানের দল তৈরি করেছিলেন।

তরুণ বিরাট কোহলিকে মিডল অর্ডারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, যখন গৌতম গম্ভীর, যুবরাজ সিং এবং সুরেশ রায়না বড় মঞ্চে প্রভাব ফেলতে প্রস্তুত ছিলেন। শচীন টেন্ডুলকার, বীরেন্দ্র শেবাগ এবং জহির খানের মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের উপস্থিতি দলের ভারসাম্য বাড়িয়েছিল।

ধোনি চেন্নাই সুপার কিংসকে প্রথম তিন আইপিএল আসরে দুটি ফাইনালে নিয়ে গিয়েছিলেন, যার মধ্যে একটি জয়লাভ করেছিল। ফলে ধোনির নেতৃত্বের দক্ষতা নিয়ে খেলোয়াড় ও সমর্থকদের আস্থা আরও দৃঢ় হয়। এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে ২০১১ বিশ্বকাপে ভারত স্পষ্ট লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামে।

Read More:- ভারতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের তালিকা

ভারতের বিশ্বকাপ ফাইনালে পৌঁছানোর যাত্রা

ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা বিশ্বকাপ
তারিখস্থানপ্রতিপক্ষফলাফলব্যবধান
১৯ ফেব্রুয়ারিমিরপুরবাংলাদেশজয়ী৮৭ রানে
২৭ ফেব্রুয়ারিবেঙ্গালুরুইংল্যান্ডটাইম্যাচ টাই
৬ মার্চবেঙ্গালুরুআয়ারল্যান্ডজয়ী৫ উইকেটে
৯ মার্চদিল্লিনেদারল্যান্ডসজয়ী৫ উইকেটে
১২ মার্চনাগপুরদক্ষিণ আফ্রিকাহারা৩ উইকেটে
২০ মার্চচেন্নাইওয়েস্ট ইন্ডিজজয়ী৮০ রানে
২৪ মার্চআহমেদাবাদঅস্ট্রেলিয়াজয়ী৫ উইকেটে
৩০ মার্চমোহালিপাকিস্তানজয়ী২৯ রানে
২ এপ্রিলমুম্বাইশ্রীলঙ্কাজয়ী৬ উইকেটে

ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা: ২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনাল

ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা বিশ্বকাপ

ফাইনালে ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে খুব একটা পার্থক্য ছিল না। দুই দলই টুর্নামেন্টে মাত্র একটি করে ম্যাচ হেরেছিল।

শ্রীলঙ্কা পাকিস্তানের কাছে এবং ভারত দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারলেও দ্রুত ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। ভারত পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে, আর শ্রীলঙ্কা ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডকে পরাজিত করে ফাইনালে পৌঁছায়।

ফাইনাল ম্যাচ স্কোরকার্ড

শ্রীলঙ্কা২৭৪/৬ (৫০ ওভারে)
মাহেলা জয়াবর্ধনে১০৩ (৮৮ বল)
কুমার সাঙ্গাকারা৪৮ (৬৭ বল)
তিলকরত্নে দিলশান৩৩ (৪৯ বল)
ভারত২৭৭/৪ (৪৯.২ ওভারে)
গৌতম গম্ভীর৯৭ (১২২ বল)
এমএস ধোনি৯১ (৭৯ বল)
বিরাট কোহলি৩৫ (৪৯ বল)

ভারতের জয়ের পথে ধোনির অবদান

ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা বিশ্বকাপ

ভারতের শুরুর ইনিংসে সেহওয়াগ শূন্য রানে আউট হন। এরপর শচীন টেন্ডুলকারও ফিরে যান, ফলে ভারত ছিল ৩১/২। তবে গম্ভীর ও কোহলির ৮৩ রানের পার্টনারশিপ দলকে স্থিতি দেয়।

এরপর গম্ভীর ও ধোনির ১০৯ রানের জুটি ম্যাচের গতিপথ পাল্টে দেয়। ধোনি নিজেকে প্রমোট করে ৫ নম্বরে ব্যাটিংয়ে এসে কার্যকর ভূমিকা রাখেন।

ধোনির ছক্কায় জয়

ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা বিশ্বকাপ

গম্ভীর আউট হলেও ধোনি ও যুবরাজ জুটি ম্যাচ শেষ করে। ধোনির বিখ্যাত ছক্কায় ভারত ২৩ বছর পর বিশ্বকাপ জিতে ইতিহাস গড়ে।

২০১১ বিশ্বকাপের শিরোপা শচীন টেন্ডুলকারের ক্যারিয়ারে একটি স্বর্ণাক্ষরে লেখা মুহূর্ত ছিল। এটি ছিল ভারতের জন্য একটি চিরস্মরণীয় দিন।

Read More:- সবচেয়ে লম্বা ক্রিকেটার কে?

প্রশ্নোত্তর

ভারত ২০১১ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে কাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল?
ভারত ২০১১ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।

গৌতম গম্ভীর ও এমএস ধোনির মধ্যে ফাইনালে কত রানের জুটি হয়েছিল?
গৌতম গম্ভীর ও এমএস ধোনির মধ্যে ফাইনালে ১০৯ রানের জুটি হয়েছিল।

ভারতের শুরুতে কত রানে দুটি উইকেট পড়ে গিয়েছিল?
ভারতের শুরুতে ৩১ রানের মাথায় দুটি উইকেট পড়ে গিয়েছিল।

ধোনি কোন বোলারের বলে ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করেন?
ধোনি নুয়ান কুলাসেকারার বলে ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *