পাকিস্তান

‘ভারতের বি টিমকেও হারাতে পারবে না পাকিস্তান’

কেবল আইসিসির কোনো ইভেন্ট কিংবা এসিসি’র (এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল) টুর্নামেন্টেই সাক্ষাৎ হয় দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ভারত-পাকিস্তানের। ফলে এসব প্রতিযোগিতায় এশিয়ান দেশ দুটির লড়াই নিয়ে তুমুল উন্মাদনা দেখা যায় সমর্থকদের মধ্যে। কিন্তু ম্যাচ শেষে ঠিক–ই বোধটা হয় এমন– ‘যত গর্জে তত বর্ষে না!’ কারণ ভারতের কাছে প্রায় প্রতিটি টুর্নামেন্টে একপেশে ম্যাচ হেরে চলছে পাকিস্তান। এমনকি দেশটি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশের ‘বি’ টিমকেও হারাতে কষ্ট হবে বলে মনে করছেন ভারতীয় কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার।

গত রোববার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির হাইভোল্টেজ ম্যাচে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত-পাকিস্তান। ম্যাচটিতে আগে ব্যাট করা পাকিস্তান টেনেটুনে ২৪১ রান সংগ্রহ করে। যা বিরাট কোহলির ৫১তম ওয়ানডে সেঞ্চুরিতে ভারত ৪৫ বল এবং ৬ উইকেট হাতে রেখেই পেরিয়ে যায়। এই ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে এক পা দিয়ে রাখে রোহিত শর্মার দল। পরবর্তীতে বাংলাদেশ নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে হারলে তাদের সঙ্গে বিদায় নিশ্চিত হয় পাকিস্তানেরও। বিপরীতে ভারত ও নিউজিল্যান্ড সেমিফাইনালে উঠেছে।

এ নিয়ে দুই দলের মুখোমুখি দেখায় সর্বশেষ ১০ ম্যাচের মধ্যে ভারত জিতেছে ৮টি ওয়ানডে। তাদের প্রতিটি জয়ই ছিল পাকিস্তানের ওপর আধিপত্য দেখিয়ে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের এমন ফর্ম দেখে স্বদেশি সংবাদমাধ্যমকে সুনীল গাভাস্কার বলেন, ‘আমার মনে হয় ভারতের বি টিম নিশ্চিতভাবেই (পাকিস্তানকে রান এনে দিতে পারবে)। সি টিমের ব্যাপারে আমি নিশ্চিত নই। তবে পাকিস্তানের বর্তমান যে ফর্ম, তারা (ভারতের) বি টিমকেও হারাতে খুবই কঠিন হবে।’

পাকিস্তান দলে সামর্থ্যবান ক্রিকেটারের অভাব দেখে অবাক হচ্ছেন ভারতীয় এই কিংবদন্তি ব্যাটার, ‘পাকিস্তানের বেঞ্চে শক্তির (দক্ষ পারফর্মার) অভাব দেখে আমি বিস্মিত। তাদের সবসময়ই কিছু ন্যাচারাল প্রতিভা থাকে। কিন্তু ন্যাচারাল প্রতিভার বিষয়টি এমন যে, এর মানে আপনারা সবসময় টেকনিক্যালি সঠিক হবেন না। কারণ তাদের (ক্রিকেটার) ব্যাট-বলের মাঝে সহজাত বোঝাপড়াটা থাকতে হবে।’

এরপরই সাবেক পাক অধিনায়ক ইনজামাম-উল-হকের উদাহরণ টেনে গাভাস্কার বলেন, ‘দৃষ্টান্তস্বরূপ ইনজামাম-উল-হককে দেখুন, যদি তার অবস্থানের দিকে তাকান, তাহলে আপনি কোনো তরুণ ক্রিকেটারের কাছে তাকে (আদর্শ হিসেবে) তুলে ধরবেন না। কিন্তু তার দুর্দান্ত (ক্রিকেটীয়) ভাবমূর্তি ছিল। যা দিয়ে সে যেকোনো ধরনের টেকনিক্যাল প্রতিবন্ধকতা এড়িয়ে যেতে পেরেছে।’

Also Read: সব দলের সতর্ক থাকা উচিত, ২০২৫ সালের আইপিএলে নতুন ব্যাট ব্যবহার করবেন এমএস ধোনি

এ ছাড়া আইপিএল ভারতীয় দলের শক্তি বৃদ্ধিতে বড় অবদান রাখছে বলেও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন গাভাস্কার। সে তুলনায় পিএসএল কিংবা অন্য ঘরোয়া টুর্নামেন্ট থাকা সত্ত্বেও পাকিস্তান এগোতে পারছে না বলে মনে করেন তিনি, ‘ভারত কীভাবে সাদা বলের ক্রিকেটে এত তরুণ প্রতিভা তুলে আনছে? কারণ আইপিএল খেলা ক্রিকেটাররাই আবার রঞ্জি ট্রফিতে খেলে এবং এরপর ভারতের (জাতীয় দল) হয়ে। এখানে এমন কিছু আছে, যা পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য বিশ্লেষণ করা উচিৎ। তাদের খুঁজে বের করতে হবে কেন তাদের বেঞ্চে যথেষ্ট শক্তিশালী বিকল্প নেই।’

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *