বিশ্বের ৫ বিপজ্জনক ব্যাটসম্যানদের মধ্যে কয়েকজন
বিশ্বের ৫ বিপজ্জনক ব্যাটসম্যানদের মধ্যে কয়েকজন তাদের আক্রমণাত্মক ব্যাটিং স্টাইল ও দ্রুত রান তোলার দক্ষতার জন্য বিখ্যাত। এবি ডি ভিলিয়ার্স তার ৩৬০-ডিগ্রি শট খেলার দক্ষতায় প্রতিপক্ষকে চাপে রাখেন। বিরাট কোহলি ধারাবাহিক পারফরম্যান্স এবং চাপের মুহূর্তে ম্যাচ জেতানোর ক্ষমতার জন্য বিখ্যাত। ডেভিড ওয়ার্নার তার আক্রমণাত্মক ওপেনিং ব্যাটিং দিয়ে দ্রুত রান তোলেন। ক্রিস গেইল বড় ছক্কা মারার অসাধারণ দক্ষতার জন্য প্রতিপক্ষের জন্য ভীতিকর। তামিম ইকবাল বাংলাদেশের অন্যতম সফল ওপেনার। তার সাহসী ব্যাটিং এবং ধারাবাহিক পারফরম্যান্স তাকে কিংবদন্তি করেছে। এ ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং যখন ফর্মে থাকে, তখন যেকোনো বোলিং আক্রমণ বিপদে পড়ে।
৫. তামিম ইকবাল
তামিম ইকবাল বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে অন্যতম সফল ও প্রভাবশালী ব্যাটসম্যান। ২০০৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর থেকে তিনি নিজের আক্রমণাত্মক ব্যাটিং স্টাইল এবং ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের মাধ্যমে দলের নির্ভরযোগ্য ওপেনার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন। তামিম বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে তিন ফরম্যাটেই সেঞ্চুরি করার গৌরব অর্জন করেছেন। তার অসাধারণ রেকর্ডের মধ্যে রয়েছে একাধিক দ্বিশতক এবং গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ম্যাচ জেতানো ইনিংস। মাঠে তার দৃঢ় মনোভাব এবং ব্যাট হাতে আক্রমণাত্মক খেলার মানসিকতা তাকে সমর্থকদের মাঝে দারুণ জনপ্রিয় করেছে। তামিমের নেতৃত্বগুণও প্রশংসিত, যা বাংলাদেশ ক্রিকেটে নতুন উচ্চতায় পৌঁছানোর ক্ষেত্রে সহায়ক হয়েছে।
৪.ডেভিড ওয়ার্নার
ম্যাচ পরিসংখ্যান
ডেভিড ওয়ার্নার অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট দলের অন্যতম আক্রমণাত্মক ওপেনার। তার আগ্রাসী ব্যাটিং স্টাইল এবং দ্রুত রান সংগ্রহের ক্ষমতা তাকে বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম বিপজ্জনক ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিত করেছে। টেস্ট, ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি, সব ফরম্যাটেই তিনি সমান দক্ষ। ওয়ার্নার তার ক্যারিয়ারে অসংখ্য সেঞ্চুরি ও হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন, যা তাকে দলের অপরিহার্য অংশে পরিণত করেছে। তার ফিল্ডিং দক্ষতাও অসাধারণ। মাঠে তার নেতৃত্বগুণ এবং চাপের মুহূর্তে ঠান্ডা মাথায় খেলার ক্ষমতা তাকে দলের অন্যতম শক্তিশালী খেলোয়াড় হিসেবে প্রমাণ করেছে। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট ইতিহাসে ওয়ার্নার ইতোমধ্যেই এক গুরুত্বপূর্ণ নাম।
প্রতিযোগিতা | টেস্ট | ওডিআই |
ম্যাচ সংখ্যা | ৮৬ | ১২৮ |
রানের সংখ্যা | ৭,৩১১ | ৫,৪৫৫ |
ব্যাটিং গড় | ৪৮.০৯ | ৪৫.৪৫ |
ইনিংসে ১০০/৫০ | ২৪/৩০ | ১৮/২৩ |
সর্বোচ্চ রান | ৩৩৫* | ১৭৯ |
৩.ক্রিস গেইল
ক্রিস গেইলকে বিশ্বের অন্যতম বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই তারকা ব্যাটসম্যান তার বিশাল ছক্কা মারার ক্ষমতা এবং আক্রমণাত্মক ব্যাটিং স্টাইলের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। গেইল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একমাত্র ব্যাটসম্যান যিনি টি-টোয়েন্টি, ওয়ানডে এবং টেস্ট—তিন ফরম্যাটেই ট্রিপল সেঞ্চুরি, ডাবল সেঞ্চুরি এবং সেঞ্চুরি করেছেন। তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারও অত্যন্ত সফল, যেখানে তিনি বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছেন। গেইলের নির্ভীক খেলা এবং বিনোদনমূলক আচরণ তাকে ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় করে তুলেছে। তিনি মাঠে যেমন ভয়ংকর ব্যাটসম্যান, তেমনি মাঠের বাইরে তার প্রাণবন্ত ব্যক্তিত্বও ভক্তদের কাছে তাকে একটি বিশেষ আকর্ষণে পরিণত করেছে।
ম্যাচ পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা | টেস্ট | ওডিআই | টি-টোয়েন্টি |
ম্যাচ সংখ্যা | ১০৩ | ৩০১ | ৭৯ |
রানের সংখ্যা | ৭,২১৫ | ১০,৪৮০ | ১,৮৯৯ |
ব্যাটিং গড় | ৪২.১৯ | ৩৭.৭০ | ২৭.৯৩ |
ইনিংসে ২০০/১০০/৫০ | ৩/১৫/৩৭ | ১/২৫/৫৪ | ২/১৪ |
সর্বোচ্চ রান | ৩৩৩ | ২১৫ | ১১৭ |
২.বিরাট কোহলি
বিরাট কোহলি বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ক্রিকেট খেলোয়াড়। তার অসাধারণ ব্যাটিং দক্ষতা এবং কঠোর পরিশ্রম তাকে ক্রিকেটের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পৌঁছে দিয়েছে। ২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর থেকে তিনি তার ব্যাটিংয়ের মাধ্যমে অসংখ্য রেকর্ড গড়েছেন। কোহলি ২০১৩ সালে ভারতের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং তার নেতৃত্বে ভারতীয় দল বহু সাফল্য অর্জন করেছে। তিনি একদিনে (ওডিআই) এবং টেস্ট ক্রিকেটে অসংখ্য শতক করেছেন, যার ফলে তার নাম সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যানদের তালিকায় উঠে এসেছে। কোহলির নিষ্ঠা, ফোকাস এবং অভ্যন্তরীণ শক্তি তাকে ক্রিকেট বিশ্বের আইকন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
প্রতিযোগিতা | টেস্ট | ওডিআই |
ম্যাচ সংখ্যা | ১১৩ | ২৯২ |
রানের সংখ্যা | ৮,৮৪৮ | ১৩,৮৪৮ |
ব্যাটিং গড় | ৪৯.১৫ | ৫৮.৬৭ |
ইনিংসে ১০০/৫০ | ৩০/৩০ | ৫০/৭২ |
সর্বোচ্চ রান | ২৫৪* | ১৮৩ |
১.এবি ডি ভিলিয়ার্স
এবি ডি ভিলিয়ার্স ক্রিকেটের ইতিহাসে এক অনন্য নাম। তার ব্যাটিং দক্ষতা, শক্তিশালী শট এবং বিস্ফোরক খেলার জন্য তিনি বিশ্বজুড়ে পরিচিত। দক্ষিণ আফ্রিকার এই কিংবদন্তি খেলোয়াড় ২০০৪ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক করেন এবং দ্রুতই নিজেকে এক অবিস্মরণীয় তারকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। তিনি ক্রিকেটের নানা ফরম্যাটে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছেন। বিশেষ করে তার ওডিআই ক্রিকেটে ৫০ বলেই সেঞ্চুরি করার রেকর্ডটি বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে। ডি ভিলিয়ার্স তার ব্যাটিং শৈলী, দ্রুত শট খেলার দক্ষতা এবং মাঠে উত্তেজনা সৃষ্টি করার ক্ষমতার জন্য জনপ্রিয়। তার খেলা ক্রিকেট প্রেমীদের জন্য একটি উৎসাহের উৎস।
প্রতিযোগিতা | টেস্ট | ওডিআই | টি-টোয়েন্টি |
ম্যাচ সংখ্যা | ১১৪ | ২২৮ | ৭৬ |
রানের সংখ্যা | ৮৭৬৫ | ৯৫৭৭ | ১,৬০৩ |
ব্যাটিং গড় | ৫০.৬৬ | ৫৩.৫০ | ২৫.৮৫ |
ইনিংসে ১০০/৫০ | ২২/৪৬ | ২৫/৫৩ | ০/১০ |
সর্বোচ্চ রান | ২৭৮* | ১৭৬ | ৭৯* |
Also Read.বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক বোলার