টেস্ট ক্রিকেটে কোনো খেলোয়াড়ের শূন্য রানের (ডাক) সংখ্যাটি প্রায়শই ব্যাটিংয়ের দুর্বলতার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে বেশ কিছু খেলোয়াড় এই বিব্রতকর তালিকায় নিজেদের স্থান করে নিয়েছেন। এই নিবন্ধে আমরা শূন্য রানের ভিত্তিতে শীর্ষ পাঁচজন বাংলাদেশি ক্রিকেটারের সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করবো।
Read More:- বাংলাদেশের ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বাধিক ফিফটি ও সেঞ্চুরি করা শীর্ষ ৫ ব্যাটসম্যান
৫. মুশফিকুর রহিম – ১৩ বার

মুশফিকুর রহিম বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান এবং দীর্ঘ সময় ধরে দলের নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড়। তবে ১৭৪ ইনিংসে তিনি ১৩ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন।
তাঁর পরিসংখ্যান:
বিষয় | পরিসংখ্যান |
---|---|
ম্যাচ সংখ্যা | ৯৪ |
ইনিংস | ১৭৪ |
রান | ৬০০৭ |
গড় | ৩৭.৭৭ |
সেঞ্চুরি | ১১ |
অর্ধশতক | ২৭ |
সর্বোচ্চ স্কোর | ২১৯* |
শূন্য রানের সংখ্যা | ১৩ |
মুশফিকের ব্যাটিং গড় ৩৭.৭৭, যা তার সামর্থ্যের সাক্ষী। যদিও শূন্য রানের রেকর্ড তাঁর ক্যারিয়ারের উজ্জ্বলতায় একটি দাগ।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ(BPL) 2025 live score
৪. তাইজুল ইসলাম – ১৩ বার

বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম তাঁর বোলিং পারফরম্যান্সের জন্য পরিচিত হলেও ব্যাটিংয়ে তাঁর খুব বেশি অবদান নেই। তিনি ৫১ টেস্টে ৮৮ ইনিংসে ১৩ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন।
তাঁর পরিসংখ্যান:
বিষয় | পরিসংখ্যান |
---|---|
ম্যাচ সংখ্যা | ৫১ |
ইনিংস | ৮৮ |
রান | ৭৭২ |
গড় | ১০.০২ |
সর্বোচ্চ স্কোর | ৪৭ |
শূন্য রানের সংখ্যা | ১৩ |
তাইজুলের ব্যাটিং গড় মাত্র ১০.০২ হলেও, তিনি মূলত একজন বোলার এবং তাঁর বোলিং পারফরম্যান্স দলের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশ প্রিমিয়াম লিগ (BPL) 2025 পয়েন্ট টেবিল
৩. খালেদ আহমেদ – ১৩ বার

খালেদ আহমেদ, যিনি মূলত পেসার হিসেবে দলে ভূমিকা পালন করেন, তাঁর ব্যাটিং পরিসংখ্যান খুবই নিম্নমানের। ১৫ ম্যাচের ২৬ ইনিংসে তিনি ১৩ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন।
তাঁর পরিসংখ্যান:
বিষয় | পরিসংখ্যান |
---|---|
ম্যাচ সংখ্যা | ১৫ |
ইনিংস | ২৬ |
রান | ৪৩ |
গড় | ২.৩৮ |
সর্বোচ্চ স্কোর | ২২ |
শূন্য রানের সংখ্যা | ১৩ |
খালেদ আহমেদের ব্যাটিং গড় মাত্র ২.৩৮, যা তাঁকে ব্যাটিংয়ে দলের জন্য খুবই কম কার্যকর হিসেবে উপস্থাপন করে।
আজকের বিপিএল ম্যাচের ভবিষ্যদ্বাণী, প্রতিকূলতা, লাইভ স্কোর
২. মোহাম্মদ আশরাফুল – ১৬ বার

মোহাম্মদ আশরাফুল ছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের অন্যতম উজ্জ্বল তারকা। তবে তাঁর ক্যারিয়ারে ব্যাটিংয়ের ধস প্রায়ই দেখা গেছে। ৬১ টেস্টে ১১৯ ইনিংসে তিনি ১৬ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন।
তাঁর পরিসংখ্যান:
বিষয় | পরিসংখ্যান |
---|---|
ম্যাচ সংখ্যা | ৬১ |
ইনিংস | ১১৯ |
রান | ২৭৩৭ |
গড় | ২৪.০০ |
সেঞ্চুরি | ৬ |
অর্ধশতক | ৮ |
সর্বোচ্চ স্কোর | ১৯০ |
শূন্য রানের সংখ্যা | ১৬ |
আশরাফুলের শূন্য রানের সংখ্যা তাঁর ব্যাটিংয়ের অনিয়মিত ফর্মের প্রতিফলন। তবে তাঁর অসাধারণ কিছু ইনিংস এখনো ক্রিকেট ভক্তদের মনে গেঁথে আছে।
১. মুমিনুল হক – ১৮ বার

মুমিনুল হক, যিনি একসময় বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক ছিলেন, শূন্য রানের তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন। ৬৯ ম্যাচে ১২৯ ইনিংসে তিনি ১৮ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন।
তাঁর পরিসংখ্যান:
বিষয় | পরিসংখ্যান |
---|---|
ম্যাচ সংখ্যা | ৬৯ |
ইনিংস | ১২৯ |
রান | ৪৪১২ |
গড় | ৩৭.০৭ |
সেঞ্চুরি | ১৩ |
অর্ধশতক | ২১ |
সর্বোচ্চ স্কোর | ১৮১ |
শূন্য রানের সংখ্যা | ১৮ |
মুমিনুলের ব্যাটিং গড় ৩৭.০৭, যা একজন শীর্ষস্থানীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ভালো। তবে শূন্য রানের সংখ্যা তাঁর ক্যারিয়ারে একটি নেতিবাচক দিক।
উপসংহার
বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটে শূন্য রানের এই রেকর্ডগুলো খেলোয়াড়দের জন্য অবশ্যই একটি বিব্রতকর অধ্যায়। তবে ক্রিকেট একটি মানসিক খেলা, এবং প্রতিটি ব্যাটসম্যানের ক্যারিয়ারে উত্থান-পতন থাকে। শূন্য রানের সংখ্যা কমিয়ে এনে দলকে আরো শক্তিশালী করার জন্য ব্যাটসম্যানদের আরো মনোযোগী হতে হবে।
Read More:- বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে শীর্ষ ৫: সবচেয়ে বেশি ফিফটি ও তার ওপরে ইনিংস
প্রশ্নোত্তর
বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি শূন্য রানের রেকর্ড কার?
মুমিনুল হক, তিনি ১২৯ ইনিংসে ১৮ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন।
মোহাম্মদ আশরাফুল টেস্ট ক্যারিয়ারে কতবার শূন্য রানে আউট হয়েছেন?
মোহাম্মদ আশরাফুল টেস্ট ক্যারিয়ারে ১১৯ ইনিংসে ১৬ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন।
তাইজুল ইসলামের ব্যাটিং গড় এবং শূন্য রানের সংখ্যা কত?
তাইজুল ইসলামের ব্যাটিং গড় ১০.০২ এবং তিনি ৮৮ ইনিংসে ১৩ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন।