টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের

টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের শীর্ষ ৫ সেরা স্ট্রাইক রেট ইনিংস!

বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে টেস্ট ক্রিকেটে ব্যাটসম্যানদের স্ট্রাইক রেটের ক্ষেত্রে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য ইনিংস রয়েছে। এমন অনেক ইনিংস আছে যেখানে ব্যাটসম্যানরা দারুণ ছন্দে ব্যাট করে, অল্প সময়ে বেশি রান তুলে দলকে সাহায্য করেছেন। নিচে আমরা এমন পাঁচটি ইনিংস নিয়ে আলোচনা করেছি যেখানে স্ট্রাইক রেট ছিল অসাধারণ।

Read More:- বাংলাদেশের ওডিআই ক্রিকেটে সর্বাধিক ডাক: শীর্ষ ৫ ব্যাটসম্যানের পরিসংখ্যান

৫. মুশফিকুর রহিম: ৪৬ রান (৩০ বল, ১৫৩.৩৩ স্ট্রাইক রেট)

টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের

২০১৪ সালের নভেম্বর মাসে চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মুশফিকুর রহিম ৪৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন মাত্র ৩০ বলে। এই ইনিংসে তিনি ৪টি চার ও ২টি ছক্কা হাঁকান। মুশফিকের ইনিংসটি ছিল বাংলাদেশের দ্রুতগতির ইনিংসগুলোর মধ্যে অন্যতম। তার স্ট্রাইক রেট ছিল ১৫৩.৩৩। এই ইনিংসের মাধ্যমে তিনি দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ(BPL) 2025 live score

৪. তামিম ইকবাল: ৩০ রান (১৯ বল, ১৫৭.৮৯ স্ট্রাইক রেট)

টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের

২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নিউজিল্যান্ডের হ্যামিলটনে তামিম ইকবাল মাত্র ১৯ বলে ৩০ রানের একটি দারুণ ইনিংস খেলেন। তিনি ৫টি চারের সঙ্গে ১টি ছক্কা হাঁকান। তামিমের এই ইনিংসের স্ট্রাইক রেট ছিল ১৫৭.৮৯। তার বিধ্বংসী ব্যাটিং দলের জন্য সাহস যোগায় এবং ম্যাচে নতুন মাত্রা যোগ করে।

বাংলাদেশ প্রিমিয়াম লিগ (BPL) 2025 পয়েন্ট টেবিল

৩. মোহাম্মদ আশরাফুল: ৬৭ রান (৪১ বল, ১৬৩.৪১ স্ট্রাইক রেট)

টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের

২০০৭ সালের মে মাসে ভারতের বিপক্ষে মিরপুরে মোহাম্মদ আশরাফুল ৪১ বলে ৬৭ রানের চমৎকার একটি ইনিংস খেলেন। তার ইনিংসে ছিল ১২টি চার এবং ২টি ছক্কা। স্ট্রাইক রেট ছিল ১৬৩.৪১। আশরাফুলের এই বিধ্বংসী ইনিংসটি তখনকার সময়ে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের দ্রুততম স্ট্রাইক রেটের একটি রেকর্ড গড়েছিল।

২. আল-আমিন হোসেন: ৩২ রান (১৮ বল, ১৭৭.৭৭ স্ট্রাইক রেট)

টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের

২০১৪ সালের জানুয়ারিতে মিরপুরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আল-আমিন হোসেন ব্যাট হাতে মাত্র ১৮ বলে ৩২ রানের একটি ঝড়ো ইনিংস খেলেন। তার ইনিংসে ছিল ১টি চার ও ৪টি ছক্কা। তার স্ট্রাইক রেট ছিল ১৭৭.৭৭। মূলত বোলার হলেও এই ইনিংস দিয়ে তিনি প্রমাণ করেন, তার ব্যাটিং দক্ষতাও দলকে সাহায্য করতে পারে।

আজকের বিপিএল ম্যাচের ভবিষ্যদ্বাণী, প্রতিকূলতা, লাইভ স্কোর

১. আবদুর রাজ্জাক: ৪৩ রান (১৭ বল, ২৫২.৯৪ স্ট্রাইক রেট)

টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের

২০১১ সালের আগস্ট মাসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারেতে আবদুর রাজ্জাক ১৭ বলে ৪৩ রানের এক অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলেন। তার এই ইনিংসে ছিল ৫টি চার এবং ৩টি ছক্কা। ২৫২.৯৪ স্ট্রাইক রেট নিয়ে এটি এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসের দ্রুততম স্ট্রাইক রেটের ইনিংস। বোলার হিসেবে পরিচিত আবদুর রাজ্জাকের এই ব্যাটিং পারফরম্যান্স ছিল অবাক করার মতো এবং তা ক্রিকেটপ্রেমীদের মন জয় করেছিল।

সেরা স্ট্রাইক রেট ইনিংসগুলোর তালিকা

ব্যাটসম্যানরানবলচারছক্কাস্ট্রাইক রেটবিপক্ষ দলভেন্যুতারিখ
আবদুর রাজ্জাক৪৩১৭২৫২.৯৪জিম্বাবুয়েহারারে৪ আগস্ট ২০১১
আল-আমিন হোসেন৩২*১৮১৭৭.৭৭শ্রীলঙ্কামিরপুর২৭ জানুয়ারি ২০১৪
মোহাম্মদ আশরাফুল৬৭৪১১২১৬৩.৪১ভারতমিরপুর২৫ মে ২০০৭
তামিম ইকবাল৩০১৯১৫৭.৮৯নিউজিল্যান্ডহ্যামিলটন১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০
মুশফিকুর রহিম৪৬৩০১৫৩.৩৩জিম্বাবুয়েচট্টগ্রাম১২ নভেম্বর ২০১৪

এই ইনিংসগুলো বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটে ব্যাটসম্যানদের অনুপ্রেরণার উদাহরণ। স্ট্রাইক রেটের দিক থেকে এগুলো বিশেষত দলকে কঠিন পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করেছে এবং দর্শকদের জন্য ছিল চোখধাঁধানো মুহূর্ত।

Read More:- বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সর্বাধিক ‘ডাক’: শীর্ষ ৫ খেলোয়াড়ের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ

প্রশ্নোত্তর

বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি স্ট্রাইক রেটের ইনিংসটি কার?
আবদুর রাজ্জাক। তিনি ২০১১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৭ বলে ৪৩ রান করেছিলেন ২৫২.৯৪ স্ট্রাইক রেটে।

মোহাম্মদ আশরাফুলের ৬৭ রানের ইনিংসে কতটি চার এবং ছক্কা ছিল?
মোহাম্মদ আশরাফুলের ৬৭ রানের ইনিংসে ১২টি চার এবং ২টি ছক্কা ছিল।

তামিম ইকবাল কবে এবং কার বিপক্ষে ৩০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন?
তামিম ইকবাল ২০১০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হ্যামিলটনে ৩০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *