আইপিএলে বাইও-বাবল

আইপিএলে বাইও-বাবল কী?

সংজ্ঞা: বায়ো-বাবল কি?

আইপিএলে বাইও-বাবল

করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধ করতে, বায়ো-সুরক্ষিত এলাকা বা বায়ো-বাবল চালু করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (ICC) এবং তার সদস্য বোর্ডগুলি ক্রিকেট ম্যাচ বা টুর্নামেন্ট চলাকালীন ভাইরাসের সংক্রমণ কমানোর জন্য বায়ো-সুরক্ষিত স্থানের উদ্যোগ নিয়েছে।

Read More:- আইপিএলের সেরা দল উন্মোচন: সাফল্যের এক পথচলা

আইপিএল ২০২০: বায়ো-বাবল ব্যবস্থা

করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালে আইপিএল স্থগিত হয়েছিল। পরবর্তীতে, সেপ্টেম্বর মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আইপিএল ২০২০ অনুষ্ঠিত হয়। এই সময়, খেলোয়াড়, স্টাফ, আম্পায়ার এবং ম্যানেজমেন্ট সবাইকে বায়ো-বাবলে রাখা হয় নিরাপত্তার স্বার্থে।

আইপিএল ২০২০ বায়ো-বাবল: কঠোর ব্যবস্থা

আইপিএল ২০২০ বায়ো-বাবল উদ্দেশ্য ছিল খেলার সময় খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং করোনার ঝুঁকি কমিয়ে আনা। খেলোয়াড়দের বাইরের দুনিয়া থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছিল।

ক্রিকেট বায়ো-বাবল: এক নজরে

  • খেলোয়াড়দের পরিবারের সদস্যরা, দর্শকরা এবং বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ নিষিদ্ধ ছিল।
  • প্রাপ্তবয়স্ক সকল খেলোয়াড় এবং স্টাফদের একান্ত কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়।

আইপিএল ২০২২: নতুন নিয়ম ও কঠোর ব্যবস্থা

আইপিএলে বাইও-বাবল

আইপিএল ২০২১ সালে বায়ো-বাবল লঙ্ঘন বেশ কিছু ঘটনা ঘটে, যার ফলে অনেক খেলোয়াড় করোনায় আক্রান্ত হন। এই পরিস্থিতি এড়াতে আইপিএল ২০২২ সালে কঠোর নিয়ম এবং নতুন বিধি চালু হয়।

বায়ো-বাবল লঙ্ঘন হলে সাজা

প্রথম অপরাধ৭ দিনের পুনরায় কোয়ারেন্টিন (বেতনের ছাড়াই)
দ্বিতীয় অপরাধ১ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা (বেতনের ছাড়াই)
তৃতীয় অপরাধদল থেকে বহিষ্কার, কোনো বদলি নেওয়া যাবে না

বায়ো-বাবল লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে ক্রিকেটার, দলের অফিসিয়াল বা আম্পায়ারদের বিরুদ্ধে একাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।

Read More:- ক্রিকেটে সুপার ওভার কী? সব কিছু যা আপনাকে জানতে হবে

প্রশ্নোত্তর

বায়ো-বাবল কীভাবে কাজ করত আইপিএল ২০২০-এ?
বায়ো-বাবল ছিল একটি সুরক্ষিত পরিবেশ, যেখানে খেলোয়াড়, কর্মকর্তা এবং স্টাফরা সম্পূর্ণভাবে কোভিড-১৯ সংক্রমণ এড়িয়ে চলতে পারতেন। খেলোয়াড়রা শুধু নির্ধারিত হোটেল ও মাঠে সীমাবদ্ধ ছিলেন এবং বাইরের বিশ্বের সাথে তাদের কোনো যোগাযোগ ছিল না।

আইপিএল ২০২২ সালে বায়ো-বাবল লঙ্ঘনের শাস্তি কী ছিল?
আইপিএল ২০২২-এ বায়ো-বাবল লঙ্ঘনের জন্য প্রথম অপরাধে ৭ দিনের কোয়ারেন্টাইন, দ্বিতীয় অপরাধে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ এবং তৃতীয় অপরাধে পুরো মৌসুমের জন্য দল থেকে বহিষ্কারের বিধান ছিল।

বায়ো-বাবল বাস্তবায়নের মূল উদ্দেশ্য কী ছিল?
বায়ো-বাবলের মূল উদ্দেশ্য ছিল খেলোয়াড়, স্টাফ এবং কর্মকর্তা সকলের কোভিড-১৯ সংক্রমণ এড়িয়ে চলা এবং একটি সুরক্ষিত পরিবেশে খেলাধুলার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।

বায়ো-বাবল ব্যবস্থার আওতায় কী ধরনের বিধিনিষেধ ছিল?
বায়ো-বাবলে খেলোয়াড়দের কোনো দর্শকদের সাথে যোগাযোগ ছিল না, পরিবার বা বন্ধুদের সাক্ষাৎ নিষিদ্ধ ছিল এবং খেলোয়াড়দের নির্ধারিত পথ ধরে চলাফেরা করতে হতো, যা নিশ্চিত করেছিল কোনো ধরনের জমায়েত বা জমায়েতের ঝুঁকি নেই।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *