বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ স্কোরার খেলোয়াড় কে

বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ স্কোরার খেলোয়াড় কে?

বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ স্কোরার তামিম ইকবাল। ২০০৭ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত খেলেছেন তিনি। এই সময়ে তামিম ২৪৩ ম্যাচে ৮৩৫৭ রান করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে ১৪টি সেঞ্চুরি ও ৫৬টি হাফ সেঞ্চুরি। তার সর্বোচ্চ স্কোর ১৫৮ রান। ধারাবাহিক পারফরম্যান্স ও অসাধারণ দক্ষতায় তামিম বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে এক অনন্য স্থান দখল করেছেন।

বাংলাদেশের হয়ে ওডিআইতে সর্বাধিক রানকারী ক্রিকেটারদের তালিকা:

খেলোয়াড়ম্যাচইনিংসরানসর্বোচ্চ রানস্ট্রাইক রেটসেঞ্চুরিহাফ সেঞ্চুরিচারছক্কা
তামিম ইকবাল২৪৩২৪০৮৩৫৭১৫৮৭৮.৫২১৪৫৬৯২৫১০৩
মুশফিকুর রহিম২৭২২৫৪৭৭৯৩১৪৪৭৯.৭৩৪৯৬১৭১০০
সাকিব আল হাসান২৪৭২৩৪৭৫৭০১৩৪*৮২.৮৪৫৬৬৯৯৫৪
মাহমুদউল্লাহ২৩৮২০৮৫৬৮৫১২৮*৭৭.৭৩৩২৪২৫১০৭
মোহাম্মদ আশরাফুল১৭৫১৬৮৩৪৬৮১০৯৭০.১১২০৩৫৪২৯

5. মোহাম্মদ আশরাফুল

একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে মোহাম্মদ আশরাফুলের বড় সমস্যা ছিল তার অনিয়মিত পারফরম্যান্স। তার ক্যারিয়ারের হাইলাইটগুলো উপভোগ করলে সবকিছুই দুর্দান্ত মনে হয়: ২০০১ সালে সবচেয়ে কম বয়সী টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান হওয়া, ২০০৪ সালে ভারতের বিপক্ষে অপরাজিত ১৫৮ রান, ২০০৫ সালে কার্ডিফে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তার অসাধারণ ১০০ রান যা বড় অঘটনের জন্ম দেয়, কিংবা ২০০৭ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তার উদ্ভাবনী ৮৭ রানের ইনিংস—সবই বাংলাদেশের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে। খারাপ ফর্মের কারণে বাদ পড়ার পর ২০১৩ সালে কামব্যাক করে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৯০ রান করে আলোচনায় ফিরে আসেন।

4. মাহমুদউল্লাহ

মাহমুদউল্লাহ ২০১০ পরবর্তী বাংলাদেশের ক্রিকেটের একটি শক্তিশালী স্তম্ভে পরিণত হন, যখন দলটি আঞ্চলিক সাফল্য অর্জন করছিল। তিনি একজন মধ্য-অর্ডারের ব্যাটসম্যান এবং কার্যকর অফস্পিন বোলার, পাশাপাশি বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফিল্ডারও। মাহমুদউল্লাহর পরিসংখ্যান তাকে আধুনিক সময়ের অলরাউন্ডারদের মধ্যে স্থান করে দিয়েছে, যারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সব ফরম্যাট মিলিয়ে ১০,০০০ রান, ১০০ উইকেট এবং ১০০ ক্যাচ সংগ্রহ করেছেন।

3. সাকিব আল হাসান

২০০৮ সালে, তার সপ্তম টেস্টে, চট্টগ্রামে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৭১ রান করার পাশাপাশি ৩৬ রানে ৭ উইকেট নেন সাকিব আল হাসান। এটি ছিল টেস্ট ইনিংসে বাংলাদেশের কোনো বোলারের দ্বিতীয়বার ৭টি উইকেট নেওয়ার ঘটনা। পরের বছর, ক্যাপ্টেন হিসেবে তার প্রথম টেস্টে, গ্রেনাডায় পশ্চিম ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সাকিব ৮ উইকেট নিয়ে ৯৬ রান করেন, যা বাংলাদেশের প্রথম বিদেশী সিরিজ জয়ের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তিনটি টেস্ট পরে, হ্যামিল্টনে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে হারলেও, তিনি ৮৭ এবং তার প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিটি করেন ১০০ রান।

2. মুশফিকুর রহিম

মুশফিকুর রহিম ফেব্রুয়ারি ২০০৬ সালে Under-19 বিশ্বকাপের অধিনায়কত্ব করেছিলেন এবং পরের মাসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বগড়ায় (সেখানে প্রথমবার) একটি টেস্টে অংশগ্রহণ করেন, যদিও তিনি মুরালিধরন এবং মালিঙ্গা বান্দারা এর স্পিনের বিরুদ্ধে তেমন কিছু করতে পারেননি। পরের বছর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফিরে আসা ট্যুরে তার প্রথম টেস্ট ফিফটি আসে। ২০০৭ সালের শুরুতে, তাকে খালেদ মাহমুদকে পেছনে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশ্বকাপে প্রথম-choice উইকেটকিপার হিসেবে নির্বাচিত করা হয়, যেখানে তিনি ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, ১৯২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে ৫৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন।

1. তামিম ইকবাল

তামিম ইকবাল তার ২১তম জন্মদিনের আগেই বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিত ছিলেন এবং আগামী বছরগুলোতে ওপেনিংয়ে দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে থাকবেন। ২০০৫ সালের শেষে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আন্ডার-১৯ দলের হয়ে ব্যাটিং করার সময় তিনি ৭১ বল থেকে ১১২ রান করেন, যা বাংলাদেশকে সহজে জয়ী হতে সাহায্য করেছিল। এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে বাংলাদেশের ক্রিকেটের অন্যতম উত্তেজনাপূর্ণ প্রতিভা হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং তিনি দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী ক্রিকেট বল মারার খেলোয়াড়দের মধ্যে একজন। তার অফ সাইডে খেলা মার্জিত শটগুলো দেখতে অনেক আনন্দদায়ক, তবে তার ট্রেডমার্ক শট হলো সোজা ড্রাইভ, যা একদম টেক্সট-বুক ফলো-থ্রু সহ হয়।

Also Read: ভারতীয় দলের শীর্ষ ১০ জন সবচেয়ে বিপজ্জনক বোলার

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *