ওয়াসিম আকরাম

বিপিএলে পারফর্ম করে পাকিস্তানের স্কোয়াডে, সমালোচনায় ওয়াসিম আকরাম

(ওয়াসিম আকরাম )এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে আছেন ফাহিম আশরাফ। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বিপিএলসহ ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে পারফরম্যান্সের সুবাদে তিনি পাকিস্তানের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াডে ডাক পেয়েছেন। বিষয়টি মানতে পারেননি দেশটির কিংবদন্তি ক্রিকেটার ওয়াসিম আকরাম। অবশ্য ‘ব্যাটিং-বোলিংয়ে ফাহিম আশরাফের পরিসংখ্যান ভালো নয়’ মন্তব্যের পাশাপাশি তিনি শুভকামনাও জানিয়েছেন।

আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে পাকিস্তানের করাচিতে পর্দা উঠবে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির। এর আগে মেগা টুর্নামেন্টটির আয়োজকরা দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলবে। এই দুটি প্রতিযোগিতা সামনে রেখে গত শুক্রবার স্কোয়াড ঘোষণা করে পাকিস্তান। যেখানে বিপিএলে ভালো পারফরম্যান্সের পর দীর্ঘদিন পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য ডাক পেয়েছেন দুই তারকা অলরাউন্ডার ফাহিম ও খুশদিল শাহ।

চলমান বিপিএলে অবশ্য আর খেলা হবে না দুই পাকিস্তানি ক্রিকেটারের। সেজন্য দুজনেরই দেশে ফিরে যাওয়ার কথা, আগেই বাংলাদেশ ছেড়ে গিয়েছিলেন খুশদিল। এবারের বিপিএলে খুশদিল রংপুর রাইডার্স এবং ফাহিম ফরচুন বরিশালের হয়ে খেলেছেন। এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টটির সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকায় দুইয়ে আছেন ফাহিম, ১১ ম্যাচে ১৩.৯০ গড়ে ২০ উইকেট নিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া ব্যাট করেছেন ৫ ইনিংসে, ২৩১.৮১ স্ট্রাইকরেট এবং ৩৪ গড়ে তার রান ১০২।

তবে ফাহিমের জাতীয় দলে ডাক পাওয়া নিয়ে সমালোচনা করে ওয়াসিম আকরাম বলছেন, ‘জাতীয় দলের স্কোয়াড আমি এখনও ভালোভাবে দেখিনি। দুয়েকবার চোখ বুলিয়ে দেখেছি ফাহিম আশরাফ আছে দলে, তাকে শুভকামনা জানাচ্ছি, প্রতিভাবান ক্রিকেটার। তবে শেষ ২০ (আন্তর্জাতিক ওয়ানডে) ম্যাচে তার বোলিংয়ের গতি ছিল গড়ে ১০০ এবং ব্যাটিং গড় ৯ রান। সে এবং খুশদিল বিস্ময়করভাবে ফিরে এসেছে। অথচ আমরা মাত্র একজন বিশেষজ্ঞ স্পিনার নিয়েছি। ভারত নিয়েছে ৩-৪ জন, নিশ্চয়ই তাদের যৌক্তিক কারণ আছে।’

পাকিস্তান ১৯৯৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ওয়াসিম আকরামের নেতৃত্বে খেলেছিল, ১৯৯২ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে বড় ভূমিকা ছিল তার। আরও একটি শিরোপা জেতা পাকিস্তানের জন্য সহজ হবে না বলে মনে করেন তিনি, ‘আমি স্বাভাবিকভাবেই পাকিস্তানকে জিততে দেখতে চাই। কিন্তু এটি সহজ নয়, এখানে বিশ্বের সেরা ৮টি দল খেলবে। দুবাইয়ে হবে ভারত-পাকিস্তানের বড় ম্যাচ। আমার মন বলছে পাকিস্তান নিশ্চয়ই সেমিফাইনাল খেলবে। তারপর কী ঘটে আমরা দেখব।’

Also Read: বিপিএল থেকে বিদায়ের পরও বিতর্কের জন্ম দিলো রাজশাহী

প্রসঙ্গত, আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে আয়োজক পাকিস্তান। ম্যাচটি হবে করাচিতে। এ ছাড়া চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশ ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার হাই-ভোল্টেজ ম্যাচটি মাঠে গড়াবে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি। এই ম্যাচটি হবে নিরপেক্ষ ভেন্যু দুবাইয়ে। এ ছাড়া গ্রুপপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের মুখোমুখি হবেন রিজওয়ানরা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *